Great War বা মহাযুদ্ধের পরে বিশ্ব নেতারা একটি সার্বজনীন সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। এভাবেই ১৯২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসনের ১৪ দফার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতিপুঞ্জ। যুদ্ধ বিরতিসহ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে জাতিপুঞ্জ তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে জাতিপুঞ্জ আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত হয় ১৯৪৬ সালে।
জেনে নিই
১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ গঠিত হয়। জাতিসংঘ রাতারাতি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ১১ টি সম্মেলনের মধ্য দিয়ে। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত জাতিসংঘের পাঁচটি সদস্য (যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চান) এর বিশেষ ক্ষমতা (Veto Power) রয়েছে, যে ক্ষমতার বলে এই পাঁচ সদস্যের যে কেউ জাতিসংঘের যেকোন সিদ্ধান্তকে নাকচ করে দিতে পারে।
জেনে নিই
নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য- ৫টি
১. যুক্তরাষ্ট্র
২. যুক্তরাজ্য
৩. ফ্রান্স
৪. রাশিয়া
৫. চীন
জেনে নিই
সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার
সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সোমবার
সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় বুধবার
সেপ্টেম্বর মাসের চতুর্থ মঙ্গলবার
জাতিসংঘের আলাপ-আলোচনার মূল সভা সাধারণ পরিষদ। প্রতিবছর সাধারণ পরিষদের নিয়মিত অধিবেশন শুরু হয় সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার। অধিবেশনে প্রতিটি দেশ সর্বোচ্চ প্রতিনিধি পাঠাতে পারে ৫ জন। সাধারণ পরিষদের যে পাঁচটি আঞ্চলিক এলাকা থেকে পালাক্রমে নির্বাচিত হন সেগুলো হলো এশিয়া, আফ্রিকা, পূর্ব ইউরোপ, ল্যাটিন আমেরিকা এবং পশ্চিম ও অন্যান্য দেশ।
নারী সভাপতি ও ন্যায়পাল
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দায়িত্ব পালনকারী নারী সভাপতি তিন জন ।
সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার
সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সোমবার
সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় বুধবার
সেপ্টেম্বর মাসের চতুর্থ মঙ্গলবার
মানবাধিকার সনদ (Universal Declaration of Human Rights) একটি ঘোষণাপত্র। ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর পারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারন পরিষদে এই ঘোষণা প্রদান করা হয়। প্রত্যেক মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিতই এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ১১ টি সম্মেলন
সম্মেলন | বিশেষত্ব |
---|---|
লন্ডন ঘোষণা (১৯৪১) |
|
আটলান্টিক সনদ (১৯৪১) |
|
ওয়াশিংটন ডিসি সম্মেলন (১৯৪২) |
|
কাসাব্লাঙ্কা সম্মেলন (১৯৪২) |
|
তেহরান সম্মেলন (১৯৪৩) |
|
মস্কো সম্মেলন (১৯৪৩) |
|
ভার্জিনিয়া সম্মেলন (১৯৪৩) |
|
ব্রিটন উডস সম্মেলন (১৯৪৪) |
|
ডাম্বারটন সম্মেলন (১৯৪৪) |
|
ইয়ান্টা সম্মেলন (১৯৪৫) |
|
সানফ্রান্সিসকো সম্মেলন (১৯৪৫) |
|
জাতিসংঘের ভাষা
১. ইংরেজি
২. রুশ
৩. ফরাসি
৪. চাইনিজ
৫. স্প্যানিশ
৬. আরবি
ব্রিটন উডস চুক্তিটি ১৯৪৪ সালের জুলাই মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারের ব্রিটন উভসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের মুদ্রা ও আর্থিক সম্মেলনে সম্পাদিত হয়। ব্রিটন উডস চুক্তি একটি নতুন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করেছিল যন্ত্র মাধ্যমে স্বর্ণকে সর্বজনীন মান হিসাবে ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট মুদ্রা বিনিময় হার তৈরি করা যায়।
IBRD (1944)
IFC (1956)
IDA (1960)
ICSID (1966)
MIGA (1988)
সনদ অনুযায়ী জাতিসংঘের ছয়টি মূল অঙ্গ সংগঠন রয়েছে।
১. সাধারণ পরিষদ (General Assembly)
২. নিরাপত্তা পরিষদ (Security Council)
৩. অছি পরিষদ (Trusteeship Council)
৪.. আন্তর্জাতিক আদালত (ICJ)
৫. অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (ECOSOC)
৬. সচিবালয় (Secretariat )
জাতিসংঘের মূল সংস্থা ৬ টি
সাধারণ পরিষদ |
কাজ- নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য নির্বাচন, মহাসচিব নিয়োগ, নতুন সদস্য গ্রহণ, বাজেট দেন। কোন রাষ্ট্রকে বহিষ্কার করা। |
---|---|
নিরাপত্তা পরিষদ |
কাজ- আন্তর্জাতিক বিরোধের নিষ্পত্তি, বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা |
অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ |
১. ECA Economic Commission of Africa. (আদ্দিস আবাবা, ইথিওপিয়া) ২. ECE Economic Commission of Europe. (জেনেভা, সুইজারল্যান্ড)। ৩. ECLAC Economic Commission for Latin America and the Caribbean. (সান্টিয়াগো, চিলি)। ৪. ESCAP-Economic and Social Commission for Asia and the Pacific. (ব্যাংকক, থাইল্যান্ড)। ৫. ESCWA- Economic and Social Commission for Western Asia, (বৈরুত, লেবানন)। কাজ- ভবনযাত্রার মান উন্নয়ন, বেকার সমস্যা সমাধান শিক্ষা প্রान ও বাহ বিভিন্ন তল্যাণমূলক কাজ | |
অছি পরিষদ |
কাজ- অনুন্নত অঞ্চলের তত্ত্বাবধান, অন্তর্ভূক্ত অঞ্চলের উন্নতি ও অধিবাসীদের স্বাধীনতা। |
সচিবালয় |
কাজ- মহাসচিব ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত, প্রধান থাকেন মহাসচিব যিনি ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। |
আন্তর্জাতিক বিচারালয় |
কাজ- এই আদালতে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা যায় না। কিন্তু আন্তর্জাতিক বিরোধের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের যে কোন সদস্য রাষ্ট্র অন্য সদস্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে। |
✓Least Developed Countries(LDC) = স্বল্পোন্নত দেশ।
✓LDC হলো উন্নয়নশীল দেশগুলির একটি তালিকা যা জাতিসংঘের মতে, আর্থ-সামাজিক বিকাশের সর্বনিম্ন সূচক প্রদর্শন করে।
✓২০২১ সালের হিসাবে, ৪৬ টি দেশকে এলডিসি হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
✓১৯৭১ সালে প্রথম স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা করা হয়।
✓বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। ধারনা করা হচ্ছে, পাঁচ বছর পর এলডিসি থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে চলে যাবে বাংলাদেশ।
✓বর্তমানে ৪৭টি স্বল্পোন্নত দেশ আছে। এ পর্যন্ত মালদ্বীপ, বতসোয়ানা, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, সামোয়া ও কেইপ ভার্দে—এই পাঁচ দেশ এলডিসি(LDC) থেকে বের হয়েছে।
SAARC- South Asian Association for Regional Co-operation (সার্ক) হলো দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। জনসংখ্যার ভিত্তিতে এটি সর্ববৃহৎ আঞ্চলিক সংগঠন। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দক্ষিণ এশীয় দেশসমূহের মধ্যে সহযোগিতামূলক বাণিজ গড়ার প্রস্তাব করেন। বাংলাদেশের এ প্রস্তাব গ্রহণ করে ১৯৮১ সালে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা প্রতিনিধিগণ। কলোম্বোতে মিলিত হয়। পরিশেষে, ১৯৮৩ সালে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে এশিয়ার ৭টি দেশ নিয়ে সার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রধান উদ্দেশ্য- ৫টি
সার্কের সদস্য দেশ- ৮টি
জেনে নিই
সার্কের বিভিন্ন সংস্থা
সার্কের সংস্থা | অবস্থান |
---|---|
আবহাওয়া কেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় | ঢাকা, বাংলাদেশ |
বিশ্ববিদ্যালয় | নয়াদিল্লি, ভারত |
ডকুমেন্টেশন | |
সাংস্কৃতিক কেন্দ্র | শ্রীলংকায় |
সার্ক কৃষি বিষয়ক কেন্দ্র | ঢাকা, বাংলাদেশ |
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র | গুজরাট, ভারত |
মানব উন্নয়ন কেন্দ্র | ইসলামাবাদ, পাকিস্তান |
সার্ক তথ্য কেন্দ্র | নেপালে |
প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপটঃ বান্দুং সম্মেলন না যুদ্ধকালে পুঁজিবাদী দেশসমূহ NATO জোটে আর সমাজতান্তি Warsaw Pact গড়ে তোলে যা পৃথিবীতে দুই মেরুকরণ করে। ঠিক তখনই ১৯৫৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার বারে ২৯টি দেশের প্রতিনিধি একটি সম্মেলনে মিলিত হয়ে একটি জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন গড়ে তোলার NAM, যা তৃতীয় বিশ্বের মুখপাত্র হয়ে কাজ করে।
জেনে নিই
উদ্যোক্তাঃ
ব্রিকস (BRICS) হলো ব্রাজিল (Brazil), রাশিয়া (Russia), ভারত (India), চীন (China) (South Africa) এ ৫টি দেশের ইংরেজি আদ্যক্ষর নিয়ে গঠিত সংস্থা।
আরও দেখুন...